সাইফুল ইসলাম উৎসবের A+ পাওয়ার নেপথ্যের কারিগড়
ছিলেন সাংবাদিক জগতের নক্ষত্র আফরোজা আক্তার ডিউ
সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এম এ ওহাব
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের অধীনে কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী কুমারখালী মথুরানাথ (এম এন) পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান শাখা থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন সাংবাদিক পুত্র সাইফুল ইসলাম উৎসব। সকলের মনে থাকা উচিৎ এই ছেলেটিই সে যার মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ।
২০১৬ সালের ১৮ ইং নভেম্বর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন সাংবাদিক এম এ ওহাব। প্রায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ওহাবকে বাঁচিয়ে রেখেছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। ঐ সময় আহত ওহাবের চিকিৎসা চলে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে। ঐ সময় সাংবাদিক এম এ ওহাবের পুত্র পড়ালেখা করতেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ওহাব চিকিৎসাধীন থাকায় তার ছেলে উৎসবের পড়ালেখা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।সেই সময় ওহাবের বাড়িতে ওহাবকে দেখতে এসে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান সহ তার পুত্র সাইফুল ইসলাম উৎসবের মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ালেখার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন নারী নেত্রী, মানবতার মা, মানুষ গড়ার কারিগর আফরোজা আক্তার ডিউ।
উৎসবের উপর বিশেষ নজর দিতে শুরু করেন ডিউ। ৫ম শ্রেণীতে ১০ মার্কের কারনে ঐ সময় এ প্লাস পাওয়ায় সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি উৎসব। তার পর থেকে উৎসবের প্রতি বেশি বেশি খেয়াল রাখতে শুরু করেন সাংবাদিক নেত্রী ডিউ।এর পর থেকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য বাই সাইকেল,বই ,নোট,খাতা,কলম টিউশনি খরচ বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো গুরুত্বসহ কারে দেখতেন এই নারী ক্রীড়াবিদ আফরোজা আক্তার ডিউ।
উৎসবের প্রতিটি বিষয়ে এ প্লাস সহ প্রাপ্ত নম্বর ১১৮৭ পাওয়ার অর্জনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উৎসবকে অভিনন্দন জানিয়ে উৎসাহিত করে চলেছেন।
এদিকে নানান প্রতিকুলতার মধো থেকেও উৎসবের বাবা সন্তানের পড়ালেখায় মনোযোগী হতে একটু ও পিছু হটেননি । তার ভাবনা চেতনায় সব সময় সন্তানকে কিভাবে সুশিক্ষিত করা যায় সেই চিন্তা।
সন্তানের এই সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আহত সাংবাদিক এম এ ওহাব বলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি,মমতাময়ী মা আফরোজা আক্তার ডিউ ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি আলহাজ্ব রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব , কুমারখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দ্বীপু মালিক, সহ বিভিন্ন সময়ে যারা আমার সন্তানের পড়াশোনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
কথা হয় উৎসবের সাথে তিনি বলেন আমার বাবা অসুস্থ থাকার পর ও আমাকে নিয়ে এক ধরনের যুদ্ধ শুরু করেছেন আমার মা ও কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন সময়ে আমার বাবার চিকিৎসা ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি যারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন তাদের সকলের প্রতি অনেক বেশি বেশি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।
মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা একটাই তিনি যেন আমাদের হেফাজত করেন।
সামনে পড়ালেখার বিষয়ে জানতে চাইলে উৎসব বলেন ঢাকাতে পড়ালেখার করার ইচ্ছা আমার কিন্তু বাবার সাধ্য নেই সেখানে রেখে পড়ালেখা করানোর
জানিনা ভাগ্যে কী রয়েছে তবে একটা ভালো কলেজে পড়ালেখা করতে পারলে হয়তো সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারতাম।আমি একজন খাঁটি মানুষ হতে চাই জানিয়ে সাংবাদিক পুত্র বলেন গনিতে পড়ালেখা করতে চাই আমি সকলের দোয়া ও ভালোবাসা চাই সব সময়।